নারদ পুরাণে, নারদ মুনি ভগবান শ্রীগণেশের বারোটি নামের উল্লেখ করেছেন যাহা বারোটি রাশির সহিত যুক্ত । যেমন-
বক্রতুণ্ড (বক্র বা বাঁকা শুঁড়) – মেষ রাশি
একদন্ত(একটি দাঁত) – বৃষ রাশি
কৃষ্ণ পিঙ্গাক্ষ (কালো বাদামী চোখ) – মিথুন রাশি
গজবক্ত্র (হাতীর মুখ) – কর্কট রাশি
লম্বোদরঃ (লম্বা উদর বা পেট) – সিংহ রাশি
বিকট (বিশাল আকার) – কন্যা রাশি
বিঘ্নরাজ (বিঘ্ন বা বাধা নাশে শ্রেষ্ঠ) – তুলা রাশি
ধূম্রবর্ণ (ধূম্রবর্ণের বা ধোঁয়াটে রঙের) – বৃশ্চিক রাশি
ভালচন্দ্র (ভালে বা কপালে চন্দ্র) – ধনু রাশি
বিনায়ক ( বিঘ্ন নাশক) – মকর রাশি
গণপতি (গণদের অধিপতি) – কুম্ভ রাশি
গজাননঃ (গজ বা হাতীর মাথা) – মীন রাশি
নারদ পুরাণে বর্ণিত ভগবান শ্রীগণেশের বারোটি নামের স্তোত্রকে সঙ্কষ্টনাশন – গণেশ – স্তোত্রম্ বলা হয়। স্তোত্রটি নিন্মরূপ-
সঙ্কষ্টনাশন – গণেশ – স্তোত্রম্
নারদ উবাচ ।
প্রণম্য শিরসা দেবং গৌরী পুত্রং বিনায়কম্।
ভক্তাবাসং স্মরেন্নিত্যমায়ুষ্কামার্থ – সিদ্ধয়ে ।।
প্রথমং বক্রতুণ্ডশ্চ একদন্তো দ্বিতীয়কম্।
তৃতীয়ং কৃষ্ণ-পিঙ্গাক্ষ গজবক্ত্র শ্চতুর্থকম্।।
লম্বোদরঃ পঞ্চমঞ্চ ষষ্ঠং বিকট এব চ।
সপ্তমং বিঘ্নরাজশ্চ ধূম্রবর্ণস্তথাষ্টমম্।।
নবমং ভালচন্দ্রশ্চ দশমং তু বিধায়কঃ।
একাদশং গণপতি দ্বাদশন্তু গজাননঃ।।
দ্বাদশৈতানি নামানি ত্রিসন্ধ্যং যঃ পঠেন্নরঃ ।
নাস্তি বিঘ্নভয়ং তস্য সর্বাং সিদ্ধিং লভেদ্ ধ্রুবম্।।
বিদ্যার্থী লভতে বিদ্যাং ধনার্থী লভতে ধনম্।
পুত্রার্থী লভতে পুত্রান্ মোক্ষার্থী লভতে গতিম্।।
জপন্ গণপতি-স্তোত্রং ষড়্ ভির্মাসৈঃ ফলং লভেৎ।
সংবৎসরেণ সিদ্ধিঞ্চ লভতে নাত্র সংশয়ঃ।।
অষ্টাভ্যো ব্রাহ্মণেভ্যশ্চ লিখিত্বা যঃ সমর্পয়েৎ।
তস্য বিদ্যা ভবেৎ সদ্যো গণেশস্য প্রসাদতঃ ।।
অনুবাদ : নারদ বলিলেন, গৌরী পুত্র বিনায়ক দেবকে মাথা নত করে প্রণাম। যে ভক্ত প্রতিদিন এই নাম স্মরণ করেন, তিনি আয়ু, কাম, অর্থ ও সিদ্ধি লাভ করেন।।
প্রথমে বক্রতুণ্ড, একদন্ত দ্বিতীয়ে।
তৃতীয়ে কৃষ্ণ পিঙ্গাক্ষ, গজবক্ত্র চতুর্থে।।
লম্বোদরঃ পঞ্চমে, ষষ্ঠে বিকট।
সপ্তমে বিঘ্নরাজ, ধূম্রবর্ণ অষ্টমে।।
নবমে ভালচন্দ্র, দশমে বিনায়ক। একাদশে গণপতি, দ্বাদশে গজাননঃ।।
এই বারোটি নাম যিনি ত্রিসন্ধ্যা (পূর্বাহ্ণে, মধ্যাহ্নে ও সায়াহ্নে) পাঠ করেন। তাঁর বিঘ্ন নাশ হয় এবং তিনি সর্বকার্য্যে অবশ্যই সিদ্ধি লাভ করেন।।
বিদ্যার্থী বিদ্যা লাভ করেন, ধনার্থী ধন লাভ করেন। পুত্রার্থী পুত্র লাভ করেন,
মোক্ষার্থী মোক্ষ লাভ করেন।।
ছয় মাস গণপতি স্তোত্র পাঠ করিলে ফললাভ হয়। এক বৎসর পাঠ করিলে নিঃসংসয়ে সিদ্ধি লাভ হয়।।
আট জন ব্রাহ্মণকে যিনি এই স্তোত্র লিখে সমর্পণ করেন। গণেশের আশীর্বাদে অবশ্যই তাঁর বিদ্যা লাভ হয়।